আসুন আমরা কুরআন শিখি, ইহকাল-পরকাল উজ্জ্বল করি।



"প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।"
মৃত্যু পরবর্তি জীবনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার চিন্তা বয়সের সাথে সাথে মনের ভেতর জেকে বসছে।

কুরআন শেখা ফরজ। তেলাওয়াত উদ্দেশ্য নয়, কুরআন পড়ে মর্মার্থ উপলব্ধি করা। এটা বাচ্চাদের শেখানো এবং নিজে শেখা ফরজ। এই ফরজ ঠিক-ঠাক মত আদায় করতে পারলে ইনশা আল্লাহ কুরআনের সমাজ গঠনের কাজ অনেকখানি এগিয়ে যাবে।

আসুন আমরা কুরআন শিখি, ইহকাল-পরকাল উজ্জ্বল করি।

Monday, July 8, 2013

দরস- দুই

Bismillahir rahmanir rahim- Jali Diwani style.

বিসমিল্লাহ সম্পর্কিত হাদিস:

বিসমিল্লাহ'র আয়াত নাযিলের পূর্বে মানুষেরা কী লিখত?

আবদুর রাজ্জাক, ইবনে সা'দ, ইবনে আবি শাইবা এবং ইবনে আবি হাতেম... আল শা'বি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহেলি যুগে মানুষেরা লিখত- বি ইসমিকা আল্লাহুম্মা। তখন রাসুলের (স.) পক্ষ থেকেও লেখা হত- বি ইসমিকা আল্লাহুম্মা।

 তারপর আয়াত নাযিল হল- বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা। তখন বিসমিল্লাহ লিখতে বললেন রাসুল (সা.)। এরপর নাযিল হল- উদউল্লাহা ওয়া উদউর রহমান। তখন রাসুল (স.) লিখার প্রচলন করলেন- বিসমিল্লাহির রাহমান।

অবশেষে আয়াত নাযিল হল- ইন্নাহু মিন সুলাইমানা ওয়া ইন্নাহু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এরপর থেকে রাসুল (সা.) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখার প্রচলন করেন।


Innahu min Sulaimana wa innahu- Naskh style 


Bismillahir rahmanir rahim- Thuluth style







বিসমিল্লাহকে আরবিতে তাসমিয়াহ تسمية এবং ক্যালিগ্রাফির ভাষায় বাসমালাহ بسمله বলে।

আল কুরআনে ১১৩টি সুরার শুরুতে এবং সুরা নামলে ভেতরেসহ দুই বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা হয়েছে। সুরা তাওবায় এটি নেই।


রসমুল কুরআন (কুরআন লেখার পদ্ধতি):
রাসুল স. নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম) কে লেখার শুরুতে মাঝ বরাবর রাখো।
Sura Ikhlas, Mushaf kufi style, Calligrapher- Mohammad Abbur Rahim, Bangladesh


বিসমি بسم শব্দটি থেকে আলিফ বাদ দেয়া হয়েছে এবং বা ب হরফটির খাড়া রেখাটি লম্বা করে লেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হাদিসে বিসমি بسم শব্দের বা ب এবং সিন س   হরফের মধ্যে আনুভুমিক রেখাকে লম্বা না করে স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। তবে সিন س ও মিম م হরফের আনুভূমিক রেখা লম্বা করাতে কোন দোষ নেই।

بـــــسم  বা ও সিনের মাঝে এভাবে লম্বা করা ভুল।
بســـــــــم  এভাবে লেখা বৈধ।


ব্যাকরণ:
বা হরফে জার। কোন শব্দের পূর্বে হরফে জার আসলে শব্দটি মু'রাব( শব্দের শেষে জবর বা জের গ্রহণকারী) হলে জের হবে শেষ হরফে। এখানে আল্লাহ শব্দটি মু'রাব। এজন্য শব্দের শেষ হরফ হা জের গ্রহণ করেছে। কিন্তু মাবনি শব্দের শেষে এরাব(জবর/জের গ্রহণ করা) পরিবর্তন হয় না।

হরফে জার আছে মূল ১৭টি।
ب ت ك ل و منذ مذ خلا رب حاشا (مع) من عدا في عن علي حتي الي

আর রাহমান এবং আর রাহিম শব্দদ্বয় আল্লাহ শব্দের সিফাত। এজন্য শব্দদ্বয়ও মাজরুর(জের গ্রহণকারী) হবে।

No comments:

Post a Comment